“প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” পূর্ণাঙ্গ চেইন কোর্স এর প্রথম পর্ব
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি, “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” পূর্ণাঙ্গ চেইন কোর্স এর প্রথম পর্ব। অবশেষে আপনাদের সকলের অপেক্ষার পর শুরু হলো চেইন টিউনের প্রথম পর্ব এবং ইনশাল্লাহ পর্যায়ক্রমে কোর্সের শেষপর্ব পর্যন্ত আমি আপনাদের পাশে থাকব।
ইমেইল মার্কেটিং সম্পর্কে বেশী কিছু না বলে শুধু এক কথায় যদি বলি, যখন কোন পণ্য বা সেবার বিপণনের প্রচার ইমেইল আদান-প্রদান এর মাধ্যমে হয় তখন তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে । অর্থাৎ মার্কেটিং বা প্রচারের মাধ্যম এখানে ইমেইল ।
প্রথম পর্বে যা যা থাকছে
১। এই কোর্স সম্পর্কে আপনাদের কিছু প্রশ্নের উত্তর ।
২। “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” পূর্ণাঙ্গ এই চেইন কোর্সটিকে কিভাবে সাজানো হয়েছে ।
৩। পূর্ণাঙ্গ এই চেইন কোর্সটিতে কি এবং কিভাবে শিখতে পারবেন।
৪। প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং শিখে আপনি কিভাবে আয় করতে পারবেন ।
৫। এই কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ রোডমাপ ।
আর সাথে থাকছে “প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” পূর্ণাঙ্গ এই চেইন কোর্সের ওভারভিউ এর ভিডিও টিউটোরিয়াল ।

আপনাদের কিছু প্রশ্ন ও তার উত্তর :
ইতিমধ্যে অনেকেই এই কোর্স সম্পর্কে আমার কাছে জানতে চেয়েছেন যে, এই কোর্সেটি করতে কত টাকা লাগবে, কোথায় হবে, কিভাবে হবে, কি কি জানতে হবে, কিভাবে শিখতে পারব ইত্যাদি ।
প্রথমেই বলে নাই এই কোর্সটি সম্পূর্ণ ১০০% ফ্রী। আমি আগেই বলেছি এই কোর্সটা করার জন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু জানতে হবে না, শুধুমাত্র বেসিক কম্পিউটার আর ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা থাকলেই চলবে । সম্পূর্ণ প্রজেক্ট ভিত্তিক লেকচের , ভিডিও টিউটোরিয়াল, প্রয়োজনীও সব রিসোর্স প্রদান এবং গ্রুপে বিভিন্ন প্রশ্ন বা সমস্যা শেয়ার ও কমেট আদান-প্রদানের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই ইমেইল মার্কেটিং” শিখেতে পারবেন।
কোর্সটিকে যেভাবে সাজানো হয়েছে
আমি এই সম্পূর্ণ কোর্সটিকে মূলত তিন ভাগে ভাগ করেছি । প্রথম অংশে থাকবে, বেসিক ইমেইল মার্কেটিং ও এর বিভিন্ন নিয়মকানুন এবং দৃষ্টিনন্দন ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করার পদ্ধতি। কারন, শুধু টেক্সট লিখে ইমেইল পাঠানোর দিন শেষ, এখন সবাই চায় তার কোম্পানির ইমেইল যেন হয় টেক্সট ও ডিজাইন সম্বলিত ।
দ্বিতীয় অংশে থাকবে ইমেইল লিষ্ট তৈরী করার বিভিন্ন পদ্ধতি ও স্পেশাল কিছু টেকনিক। কারন ইমেইল এড্রেস খুজে না পেলে ইমেইল পাঠাবেন কোথায় । যা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমার সবচেয়ে পছন্দের বিষয় । কারন যার যত বড় ইমেইল লিষ্ট থাকবে সে তত বেশী এগিয়ে যাবে ।
তৃতীয় অংশে থাকবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তা হল ইমেইল সেন্ডিং করার বিভিন্ন পদ্ধতি । আপনি চাইলেও প্রতিদিন হাজার হাজার ইমেইল বিভিন্ন ফ্রী ইমেইল প্লাটফর্ম যেমন ইয়াহু বা জিমেইল এর মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন না । তাই আপনাকে জানতে হবে প্রফেশনাল মানের কিছু ইমেইল প্লাটফর্ম যেমন, MailChimp, Getresponse ইত্যাদি এবং পারসনাল ইমেইল সার্ভার Interspire সম্পূর্ণ ব্যবহার করার পদ্ধতি ।
প্রতিটি পর্বের শেষে থাকবে কিছু হোমওয়ার্ক যা আপনারা বাসায় প্র্যাক্টিস করবেন । কোন কিছু না বুঝলে ব্লগে বা গ্রুপে প্রশ্ন করে জানান, এতে আপনার এক্টিভিটিনেস বোঝা যাবে । প্রশ্ন না করলে কখনোই শিখতে পারবেন না । আজকে যেসব বিষয় টিউনে তুলে ধরা হয়েছে সেসব বিষয়ের উপর প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করুন। মনে করবেন না যে আপনার প্রশ্ন পড়ে অন্যরা হাসবে বা ছোট হয়ে যাবেন বরংচ আপনার প্রশ্ন থেকে আপনার মত নতুন আরো দশ জন বিষয়টি শিখতে পারবে । আমি সবার প্রশ্নের উত্তর দিবো ইনশাল্লাহ। মনে রাখবেন যে যত বেশি প্রশ্ন করবে সে তত বেশি শিখতে পারবে এবং সফল ইমেইল মার্কেটার হতে পারবে।
কোর্সটিতে যা যা শিখতে পারবেন
প্রথম অংশের টিউটোরিয়ালে আপনি দৃষ্টিনন্দন ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করা শিখবেন । ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস এর ব্যবহার ও প্রয়োগ, MailChimp দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি, টেমপ্লেট এডিট করে নতুন ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি, ফটোশপ দিয়ে কিভাবে পিএসডি ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে হয়, এইচটিএমএল ও সিএসএস দিয়ে কিভাবে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে হয় এবং কিভাবে পিএসডি টু এইচটিএমএল ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে হয়। ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরির সকল কলাকৌশল শিখতে পারবেন । ভয় পাবেন না, ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস এ মাস্টার হতে হবে না । খুব অল্প কিছু এইচটিএমএল, সিএসএস কোড ও ফটোশপ কিছু টুলস ব্যব্যহার জানলেই হবে যা এই কোর্সেই বিস্তারিত লেকচার ও ভিডিও টিউটোরিয়াল মাধ্যমে দেখানো হবে যা থেকে আপনি সহজে শিখতে পারবেন । শুধু শিখবেনই না, নিজে নিজে তৈরি করাতে পারবেন আকর্ষণীয় সব ইমেইল টেম্পলেট।

দ্বিতীয় অংশের টিউটোরিয়ালে আপনি শিখবেন কিভাবে ইমেইল এড্রেস খুজে বের করবেন, মানে লিষ্ট বিল্ডিং । বিভিন্ন ভাবে আপনি ইমেইল কালেকশন করতে পারেন বৈধভাবে মানে white hat method বা অবৈধভাবে মানে black hat method ব্যবহার করে । আমি আপনাদেরকে দুটো মেথডই শিখাব এবং তাদের ভাল মন্দ দিকগুলো তুলে ধরবো । একে একে সব গুলো বিষয় লেকচার ও ভিডিও টিউটোরিয়াল মাধ্যমে বিস্তারিত দেখানো হবে ।
তৃতীয় অংশের টিউটোরিয়ালে আপনি শিখবেন তা হল ইমেইল সেন্ডিং করার পদ্ধতি । আপনি কিভাবে ইমেইল পাঠাবেন, কি ব্যবহার করে ইমেইল পাঠাবেন, ইমেইল সেন্ড করার সময় কি কি সতর্কতা অবলম্বন করবেন। MailChimp, Getresponse ও পারসনাল ইমেইল সার্ভার Interspire সম্পূর্ণ ব্যবহার করার পদ্ধতি, ডোমেইন, হোস্টিং ও MYSQL ডাটাবেস সেটআপ, এক বা একাধিক email Campaign সেটআপ করা করার পদ্ধতি । বিষয় গুলো একটু কঠিন বলে মনে হলেও যেহেতু, সব গুলো বিষয় লেকচার ও ভিডিও টিউটোরিয়াল মাধ্যমে বিস্তারিত দেখানো হবে সেহেতু তেমন কোন সমস্যা হবে না । আর সমস্যা হলে গ্রুপে পোস্ট করবেন, আমি চেষ্টা করব আপনাদের সব সমস্যার সমাধান দিতে ।
ইমেইল মার্কেটিং শিখে আপনি কিভাবে আয় করতে পারবেন
৮০% মানুষের মাথায় একটাই চিন্তা ইমেইল মার্কেটিং মাসে কত টাকা আয় করতে পারব ! আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন তা আপনার উপর ডিপেন্ট করবে । তারপরও যদি বলতে হয় আপনি মাসে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ বা তার চেয়েও বেশী ইনকাম করতে পারবেন। তবে আপনাকে হবে সেই রকম দক্ষ ও পরিশ্রমী । আপনি যদি সেই রকম দক্ষ ও পরিশ্রমী না হতে পারেন তাহলে ৫০ হাজার তো দূরে থাক ৫ পয়সা ইনকাম করতে পারবেন কিনা সন্দেহ ।
পিএসডি ইমেইল টেমপ্লেট, এইচটিএমএল ও সিএসএস দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট, পিএসডি টু এইচটিএমএল কনভার্ট করে ইমেইল টেমপ্লেট বা শুধু যে কোন একটা বিষয় জানলেও বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস যেমন ওডেস্ক, ইলেন্স, ফ্যাইবার ইত্যাদি থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এছাড়াও বিভিন্ন ইমেইল টেমপ্লেট বিক্রির ওয়েবসাইটে আপনার ইমেইল টেমপ্লেট জমা দিয়েও ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি যদি ইংলিশে ভাল লিখতে পারেন তাহলে বিভিন্ন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের পণের ইমেইল নিউজলেটার লিখেও প্রচুর ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস গুলোতে এর চাহিদা অনেক বেশি।
বিভিন্ন niches বা বিষয়ের এর উপর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে, তা বিক্রি করে দিয়েও ইনকাম করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস গুলিতে ক্লাইয়িন্ট এর ইমেইল লিষ্ট তৈরী করে দেওয়ার সাথে সাথে দিন দিন বিশাল ইমেইল লিষ্ট তৈরী হতে থাকবে যা আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় সম্পদ হয়ে দাঁড়াবে। তখন আপনি কোন কাজ না করেও সারা জীবন বসে বসে খেয়ে যেতে পারবেন । বলতে গেলে এক ঢিলে দুই পাখি না লাইফ পাখি।

মার্কেটপ্লেস গুলিতে সবচেয়ে বেশী ইনকাম করতে পারবেন ইমেইল সেন্ডিং এর কাজ করে । ইমেইল সেন্ড, লিস্ট ক্লিনিং, ইমেইল সার্ভার সেটআপ, email Campaign সেটআপ, অটো স্পন্ডার সেটআপ ইত্যাদি কাজ করে আয় করতে পারেন ।
তারচেয়েও বেশী আয় করতে পারেন ইমেইল মার্কেটার অ্যাডভাইজার হিসাবে । কোন কোম্পানির ইমেইল মার্কেটিং টিমের সকল কাজগুলো কখন ও কিভাবে হবে তা নির্ধারণ, সংযোজন-বিয়যোজন, নির্দেশ ইত্যাদি পরামর্শ দেওয়া। মানে ইমেইল লিস্ট, রাইটিং, টেমপ্লেট থেকে শুরু করে Campaign সেটআপ ও তার ফলাফল পর্যন্ত দিক নির্দেশনা প্রদান করে আয় করতে পারেন মোটা অংকের ইনকাম।
অ্যাফিলিইয়েট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান clickbank, clicksure ইত্যাদিতে জড়িত হয়ে তাদের পণ্য বা সেবা বিক্রির জন্য ইমেইল মার্কেটিং করে আয় করতে পারেন । অ্যাফিলিয়েশনের মাধ্যমে আয়ের পরিমান হিসেব করে বলা কষ্টসাধ্য। অ্যাফিলিয়েশন করে মাসে আয় করা যায় ১০০ ডলার থেকে আনলিমিটেড ডলার । এছাড়াও ইমেইল মার্কেটিং জানা থাকলে আরো অনেকগুলো ক্ষেত্রেই কাজ করতে পারবেন ।
প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং সফলভাবে শেখার একটা পূর্ণাঙ্গ রোডমাপ
১। আপনাকে প্রথমে একটা লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যে আপনি ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন কি না। কারন আজ ইমেইল মার্কেটিং বা এসইও, কাল প্রোগ্রামিং পরশু মোবাইল আপস তৈরি তার পরদিন আরেকটা বিষয় এভাবে করলে কোন দিনই কোন কিছু ভালভাবে শিখতে পারবেন না। সুতরাং যে কোন একটা বিষয়ে ফোকাস দিন তাহলে সফলভাবে শিখে আয় করতে পারবেন ।
২। কোন কিছু শেখার আগে আপনাকে একটি প্লান করতে হবে । কারন পরিকল্পনা সারা কাজ করলে বেশী দূর আগাতে পারবেন না । প্লান করার সময় চিন্তা করবেন যে, কোন কাজটি আপনি করতে চান ইমেইল টেমপ্লেট ডিজাইন, রাইটিং, লিস্ট বিল্ডিং, ইমেইল সেন্ডিং না ইমেইল মার্কেটার অ্যাডভাইজিং তা আগে ঠিক করুন এবং কাজটি শেখার জন্য কতটুকু সময় দিতে পারবেন তা হিসাব করে পরিকল্পনা তৈরি করুন । কারন আপনি যদি ৩০ মিনিট সময় দিয়ে মাসে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখেন তা হলে কোন লাভ হবে না । আপনার পরিকল্পনা ও সময়ের সমন্বয় থাকতে হবে ।
৩। পোস্টগুলো কপি করে ও ভিডিও টিউটোরিয়ালগুলো ডাউনলোড করে কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে সেভ করে রেখে দিলে বা সব একবারে শিখবেন এই চিন্তা করলে কখনই ইমেইল মার্কেটিং আর শেখা হবে না । তাই শিখতে শিখতে এগিয়ে যেতে হবে । লক্ষ্য নির্ধারণ ও প্লান করার পর আপনি আপনার নির্ধারণ করা কাজটি শেখার শুরু করে দিবেন ।
৪। আপনি কাজটি কেমন শিখলেন বা শিখতে গিয়ে কোন প্রবলেমে পরলেন তা নিয়ে গ্রুপে গ্রুপ ডিসকাশন করে সমাধান করে নিতে পারবেন আপনার সমস্যাগুলি । এতে একজন আরেকজনের প্রতি inspire হয়ে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন । হতে পারবেন একজন সফল ও দক্ষ ইমেইল মার্কেটার ।
ভিডিও টিউটোরিয়াল
প্রথম পর্বের হোমওয়ার্ক
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” এর দ্বিতীয় পর্বে। অনেকের কাছে মনে হতে পারে ৭ দিন পর পর পোস্ট না দিয়ে ১ বা ২ দিন অথবা ৩ দিন পর পর টিউন করা হলে ভাল হয় । তাদের সাথে আমি ১০০% একমত প্রকাশ করছি । কিন্তু তখন ইমেইল মার্কেটিং শিখবেন ঠিকই কিন্তু সফল ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন কিনা জানি না । মানে তখন হয়ত আপনাদের শেখাতে হবে ৭ ও ৫ যোগ করে ১২ না হয়ে ১০ বা ২০ হয়। কারন, সময় কম থাকায় তাড়াহুড়া করে শেষ করতে হবে ।
তথ্যবহুল ও মানসম্পন্ন ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ টিউন করতে ৭ দিন সময় অনেক কম । আমি আপনাদের কাছে শুধু ভিডিও টিউটোরিয়াল সহ টিউন করতে চাই না, আমি চাই আপনারা যাতে প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখতে পারেন । আপনাদের মনের ৮০% প্রশ্নের উত্তর যেন পোস্টটি থেকেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন । এর বাকি ২০ % এর জন্য আমি গ্রুপে সব সময় আপনাদের পাশে আসি । আমি আবার একটি কথা বলতে চাই, এই কোর্সেটি করতে আপনার প্রয়োজন হবে কঠোর পরিশ্রম, সততা, নিষ্ঠা, ধৈর্য এবং এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ।
গত পর্বে যা যা ছিল
“প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” পূর্ণাঙ্গ এই চেইন কোর্সটিকে কিভাবে সাজানো হয়েছে, পূর্ণাঙ্গ এই চেইন কোর্সটিতে কি এবং কিভাবে শিখতে পারবেন, প্রফেশনার ইমেইল মার্কেটিং শিখে আপনি কিভাবে আয় করতে পারবেন, এই কোর্সটি সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য একটা পূর্ণাঙ্গ রোডমাপ ও কোর্সের ওভারভিউ এর ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
গত পর্বের টিউন দেখুন এখানেঃ http://www.techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/288504
গত পর্বের টিউটোরিয়াল দেখুন এখানেঃ http://www.youtube.com/watch?v=tJRedYnh-Xw
২য় পর্বে যা যা থাকছে
১। বেসিক ইমেইল মার্কেটিং ও এর প্রকারভেদ
২। ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম
৩। ইমেইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন নিয়মকানুন

ইমেইল মার্কেটিং শেখার করার আগে আপনাকে ইমেইল মার্কেটিং এর সকল খুঁটিনাটি বিষয় সম্পর্কে খুব ভালভাবে জানা খুব দরকার । মনে করুন, আপনি জীবনে কখনও ফুটবল খেলা দেখেন নাই বা ফুটবল খেলা কি তাই জানেন না বা ফুটবল খেলায় কতজন খেলোয়াড় থাকে ইত্যাদি ইত্যাদি । কিন্তু হটাৎ করে কোন ফুটবল খেলায় আপনি অংশগ্রহন করলেন, তাহলে হয়ত কিছুক্ষণের মধ্যেই রেফারী আপনাকে লাল কার্ড দেখিয়ে মাঠ ছাড়া করতে পারে । কারণ, গোল করার আশায় আপনি এমন কিছু করে ফেলতে পারেন যা কিনা ফুটবল খেলার নিয়মনীতির বাইরে ! সতরাং কোন কিছুর করার আগে, সে সম্পর্কে ভালভাবে না জেনে করা ঠিক নয়। এতে লাভের চেয়ে ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা বেশী ।
১। বেসিক ইমেইল মার্কেটিং ও প্রকারভেদ
এক কথায়, কোন পণ্য বা সেবার বিপণনের প্রচার ইমেইলের মাধ্যমে করা হলে তাকে ইমেইল মার্কেটিং বলে । ইমেইল মার্কেটিং ব্যবহার করে প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার হাজার কোম্পানি তাদের পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ইমেইল মার্কেটিং প্রধানত তিন ধরেনের ।
# Transactional email marketing বা লেনদেন সম্পর্কিত ইমেইল মার্কেটিং : আপনি যখন কোন ওয়েবসাইটে সাইন আপ করেন তখন সেই ওয়েবসাইট আপনাকে একটি সুন্দর ইমেইল প্রদানের স্বাগতম জানাই । এটাই হল Transactional email। এছাড়া, যেমন ফেসবুকের বা অন্যান্য ওয়েবসাইটের ভেরিফাই, নটিফিকেসন, পাসওয়ার্ড চেঞ্জ, পাসওয়ার্ড রিকভারী ইত্যাদিকে Transactional email marketing বা লেনদেন সম্পর্কিত ইমেইল মার্কেটিং বলা হয় ।

# Direct email marketing বা সরাসরি ইমেল মার্কেটিং : কোন নিদিষ্ট বিষয়ের উপর নিদিষ্ট ব্যক্তিদের বা প্রাপকদের কাছে সরাসরি ইমেল এর মাধ্যমে কোন বিজ্ঞাপন প্রচারণা করার পদ্ধতিকে Direct email marketing বা সরাসরি ইমেল মার্কেটিং বলে । যেমন, কোন কোম্পানির বিশেষ কোন অফার, নতুন পণ্য বা সেবা, ডিসকাউন্ট সম্পর্কিত ইমেইল প্রচারণা ।
# solo ad : কোন কোম্পানির এককালীন কোন অফার বা নিউজ প্রচারণা করার জন্য কোন ভেন্ডর বা ইমেইল লিস্ট বিক্রেতার কাছ থেকে সংগ্রহকৃত ইমেইল লিস্ট কিনে তার মাধ্যমে ইমেল পাঠানোর পদ্ধতিকে solo ad বলে। সোলো এড এর আরেক নাম বাল্ক মেইল । যেমন, আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে অনেক সময় কোন কোম্পানির এমন সব এককালীন অফারের মেইল আসে, যেখানে আপনি কখনও সাইন-আপই করেন নি । তাহলে তারা আপনার ইমেইল কোথায় পেল ?
ঐ কোম্পানি না হোক অন্য কোন কোম্পানির সাইন-আপ হয়ত আপনি করেছেন, আর সেই কোম্পানির ডাটাবেস থেকে ইমেইল লিস্ট কিনে আপনাকে মেইল পাঠানো হয়েছে । এই পদ্ধতিকেই বলা solo ad ।
২। ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম
ইমেইল মার্কেটিং করতে আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে ধারণা থাকে হবে ।যেমন, ইমেইল সার্ভার, স্প্যাম ইমেইল, স্প্যাম বক্স, ইমেইল ওপেনিং রেট, লিস্ট ক্লিনিং ইত্যাদি ।
# সহজ ভাষায় ইমেইল সার্ভার হল, যার মাধ্যমে ইমেইল পাঠানো হয় । আগেরদিনে চিঠি পাঠানোর জন্য পোস্ট অফিস বা ডাক পিয়নকে মাধ্যম হিসাবে ব্যবহার করা হত । তারমানে, আপনার ইমেইলের ডাক পিয়ন হল সার্ভার ।

# আপনার ইমেইল অ্যাড্রেসে যে সব অনাকাঙ্ক্ষিত ইমেইল আসে বা আপনি যখন কোন মেইলকে অপ্রত্যাশিত বলে মনে করেন সেই সব মেইলকে স্প্যাম ইমেইল বলে । আর স্প্যাম বক্স হল যেখানে স্প্যাম ইমেইল গুলো জমা হয় ।
# ইমেইল ওপেনিং রেট বলতে বোঝায় আপনি যাদেরকে মেইল পাঠিয়েছেন তার মধ্যে কত পারসেন্ট আপনার ইমেইল পড়েছে । শুধু ইমেইল পাঠালেই হবে না, আপনার ইমেইল যাতে পড়ে সে বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে । কারণ, আপনি আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন প্রচার করার জন্য ইমেইল পাঠালেন, তা যদি কেউ খুলেই না দেখে তাহলে প্রচারনা করে কি লাভ !
# লিস্ট ক্লিনিং হল বিভিন্ন বাল্ক মেইল লিস্ট থেকে ভেরিফাই ইমেইল বের করা । মানে বিষয়টা এই রকম যে, হাজার হাজার ইমেইল থেকে একটিভ ইমেইল গুলোকে বাছাই করে পারফেক্ট ইমেইল লিস্ট তৈরি করা ।
৩। ইমেইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন নিয়মকানুন
ইমেইল মার্কেটিং করার আগে বিভিন্ন নিয়মকানুন সম্পর্কে জানতে হবে । নিয়মনীতি না জানার কারণে অনেক বড় ধরণের দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে । কিছু দিন আগে একটা ব্লগে পড়লাম, এক অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তির কাছে কোন এক কোম্পানির একই বিজনেস নিউজলেটার ভুলবসত দুইবার সেন্ড করা হয়ে ছিল । সেজন্য সেই অস্ট্রেলিয়ান ব্যক্তি ঐ কোম্পানির নামে মামলা করে দিয়ে ছিল । যার কারণে ঐ কোম্পানিকে ১০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার জরিমানা করা হয়ে ছিল । সতরাং বুজতেই পারছেন নিয়মনীতি জানাটা কতটা প্রয়োজন ।
Subscribe বা অনুমতি নেওয়া ইমেইল করা
কোন ব্যক্তিকে মেইল পাঠানোর আগে তার কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে ইমেইল পাঠাতে হবে । তা না হলে স্প্যামার মনে করে আপনার মেইলকে স্প্যাম মেইল হিসেবে ধারনা করবে । তখন আপনার মেইল মেইলবক্সের বদলে স্প্যামবক্সে জমা হবে এবং যাকে পাঠানো হয়েছে তিনি সেটা দেখবেন না। এতে একদিকে যেমন তিনি আপনার মেইল পড়বেন না অন্যদিকে আইএসপি গুলি আপনাকে ব্লাকলিষ্টেড করে ফেলবে ।
অনুমতি নেওয়া বা পাওয়া খুব একটা কঠিন কিছু না । আপনি অনেকভাবে অনুমতি নিতে পারেন পারেন । যেমন ধরুন, কোন অফার বা ইবুক দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইমেইল এড্রেস দিতে বলুন। যারা আগ্রহী হবে তারা তাদের মেইল দিয়ে আপনার Subscriber হবে । শুধুমাত্র তাদের কাছেই মেইল পাঠান।
Unsubscribe যুক্ত করা ইমেইল পাঠান
আপনি যখন কাউকে ইমেইল পাঠাবেন সেই ইমেইল এ Unsubscribe অপশন যুক্ত করতে হবে। যাতে কেউ যদি পরবর্তী মেইল পেতে আগ্রহি না হন তাহলে তিনি যেন সহজে নিজের নাম বাদ দিতে পারেন সেই ব্যবস্থা রাখুন। এতে আপনি যেমন বুজতে পারবেন কারা আপনার পণ্য বা সেবার বিজ্ঞাপন পেতে ইচ্ছুক, তেমনি ইমেইল পাঠানোর খরচ ও সময় দুইটাই সাশ্রয় হবে । সবচেয়ে বড় কথা, আপনার ইমেইল ডাটাবেসে টার্গেটেড ইমেইল লিস্ট তৈরি হতে থাকবে ।
Ownership ওয়েবসাইট থেকে ইমেইল পাঠান
আপনি যখন আপনার ব্যবসার প্রচারের জন্য কাউকে ইমেইল পাঠাবেন, তা যেন Must Be নিজের ইমেইল সার্ভার অথবা ভাড়াকৃত ইমেইল সার্ভার থেকে পাঠাবেন । অর্থাৎ জিমেইল বা ইয়াহু জাতিও ইমেইল প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্যবসার প্রচারের ইমেইল পাঠালে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতা আপনার প্রতি আস্থা হারাবে এবং আপনাকে স্প্যামার মনে করতে পারে ।
Subject বা সঠিক বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে ইমেইল পাঠান
আপনি যখন কাউকে ইমেইল পাঠাবেন সেই ইমেইলের Subject সুস্পষ্ট ও সত্য হবে । যাতে সবাই আপনার ইমেইলের Subject দেখে বুজতে পারে ভিতরে কি আসে । সঠিক বিষয়বস্তুটাকে আকর্ষণীয় করে লিখতে পারেন । কিন্তু ইমেইল ওপেনিং রেট বাড়ানোর জন্য কখনই মিথ্যা বা অতিরিক্ত কথা বলা যাবে না । যেমন ধরুন, কোন ব্যবসার প্রচারের জন্য কাউকে ইমেইল পাঠাবেন, কিন্তু ইমেইল ওপেনিং রেট বাড়ানোর জন্য Subject দিলেন “বিশ্বকাপ নিউজ আপডেট” । আপনার ইমেইল ওপেনিং রেট বাড়াবে ঠিকই কিন্তু আপনার সম্ভাব্য ক্রেতাকে হয়ত চিরদিনের জন্য হারাবে। কারণ, আপনি নিজে থেকেই বলছেন আমি স্প্যামার !!
Physical Address ব্যবহার করে ইমেইল পাঠান
কোন ব্যবসার প্রচারের জন্য কাউকে ইমেইল পাঠানোর সময় Must be আপনি আপনার কোম্পানির ফিজিক্যাল এড্রেস ব্যবহার করবেন । আর ফিজিক্যাল এড্রেস না থাকলে অন্তত একটা ফোন নাম্বার দিতে হবে যাতে সে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে । তা না হলে আপনার সম্ভাব্য ক্রেতারা আপনার কোম্পানিকে ট্রাস্ট করবে না ।

Adult Content সম্বলিত ইমেইল পাঠাতে সতর্কতা
আপনি যখন কোন ক্লাইন্টের Adult বা ডেটিং সার্ভিস প্রদান করার জন্য ইমেইল পাঠাবেন, তখন অবশয়ই ইমেইল Subject এ “ADV:ADLT” or “ADLT” এই দুইটা টার্ম এর যে কোন একটি উল্লেখ করবেন । তা হলে বড় ধরেনের কোন বিপদে পড়ে যেতে পারেন ।
harvested email সেন্ড করা থেকে বিরত থাকুন
harvested email বলতে অনলাইনে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে অবৈধভাবে হাজার হাজার মেইল কালেক্ট করাকে বোঝায়। এটা একদিকে যেমন ইমেইল মার্কেটিং নিয়মের বাইরে তেমনি এর কার্যকারিতাও তেমন ভাল না । আপনি প্রশ্ন করতে পারেন, মাক্সিমাম মানুষই harvested email ব্যবহার করে ইমেইল মার্কেটিং করছে?
এখান আপনি বলুন, আমাদের দেশে কয়জন ট্রাফিক নিয়ম মানে ? কিন্তু যখন কোন দুর্ঘটনা ঘটে যায় তখন হয়ত আমারা বুজতে পারি নিয়ম মানা কতটা জরুরী ।
ইমেইল টেমপ্লেট ও বডি কেমন হবে
আপনি যদি এইচটিএমএল ইমেইল টেমপ্লেট ব্যবহার করে ইমেইল পাঠান , তাহলে যেন আপনার এইচটিএমএল ইমেইল টেমপ্লেট এর প্রস্থ যেন ৬০০ থেকে ৮০০ পিক্সলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে । এইচটিএমএল ইমেইল টেমপ্লেটে যত ইমেজ ও সিএসএস কম ব্যব্যহার করা যায় তত ভাল । আর ইমেইলের বডিতে Forward to a friend, Privacy Policy Link, Social Link ইত্যাদি উল্লেখ করুন ।
অনেকে মনে করেন, সস্তা ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করলেই শুধু ইমেইল স্প্যাম হওয়ার সম্ভবানা বেশী থাকে । কথাটি আসলে বিষয়টি পুরোপুরি সঠিক নয় । ওপরের যে কোন কারণে আপনি আপনার ক্রেতার কাছে স্প্যামার হিসাবে পরিচিত হতে পারেন । আর আপনি স্প্যামার মানে আপনার ক্রেতার ইমেইল ইনবক্সে না যেয়ে স্প্যামবক্স যাবে এটাই স্বাভাবিক ।
তাই শুধু মেইল পাঠালেই হবে না, সব কিছু চিন্তা করে ভাল করে প্লান করে ইমেইল পাঠান ।
পাঠকের প্রতিক্রিয়া বিবেচনায় এনে প্রয়োজনে পদ্ধতিতে পরিবর্তন আনুন। এর ওপরই নির্ভর করে আপনার সফলতা।
ভিডিও টিউটোরিয়াল
২য় পর্বের হোমওয়ার্ক
১ম পর্বের হোমওয়ার্ক ছিল কিছু ই-কমার্স ও সার্ভিস বেইস ওয়েবসাইটের সাইন আপ বা Subscribe করা । যারা কাজটি ভালভাবে শেষ করেছেন তারা তাদের ইমেইলে ঐ ওয়েবসাইট গুলো থেকে বিভিন্ন মেইল পেয়েছেন এবং যা থেকে আপনি ইমেইল টেমপ্লেটে সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আজকের হোমওয়ার্ক হল ঐ ওয়েবসাইট গুলো থেকে আসা বিভিন্ন ইমেইল টেমপ্লেট দেখে আইডিয়া নিবেন ও কোথায় কি নিয়ম ব্যবহার হয়েছে তা ভালভাবে দেখে নিবেন ।
৩য় পর্বে ফটোশপ ও এইচটিএমএল সম্পর্কে আলোচনা করা হবে । ৩য় পর্বে থেকে শুরু হবে ইমেইল মার্কেটিং এর আসল ও রিসোর্সফুল পার্টসমূহএবং লং প্রাক্টিকাল ভিডিও টিউটোরিয়াল । আজ আর নয় ইমেইল মার্কেটিং এর ৩য় পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি আজকের টিউটোরিয়াল। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন এবং এই পোস্টটি সবার সাথে শেয়ার করেন।
“প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” (৩য় পর্ব)
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” এর তৃতীয় পর্বে। যারা এই কোর্সটি করছেন, তাদের মধ্যে আনেকই আমাকে প্রশ্ন করেছেন, আমি ফটোশপ, এইচটিএমএল(html) ও সিএসএস(css) সম্পর্কে কিছুই জানি না । তাহলে কি আমি ইমেইল মার্কেটিং কোর্সটি ভালভাবে শিখতে পারব ?
হ্যাঁ পারবেন। কারণ, এই কোর্সটির মাধ্যমে ফটোশপ, এইচটিএমএল(html) ও সিএসএস(css) এর বেসিক ব্যবহার থেকেই শুরু করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরির অ্যাডভান্স বিষয় পর্যন্ত হাতে কলমে শিখাতে চেষ্টা করব।
গত পর্বে যা যা ছিল
বেসিক ইমেইল মার্কেটিং ও এর প্রকারভেদ, ইমেইল মার্কেটিং এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ টার্ম, ইমেইল মার্কেটিং এর বিভিন্ন নিয়মকানুন এবং এই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
গত পর্বের টিউন দেখুন এখানেঃ http://www.techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/289275
গত পর্বের ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন এখানেঃ http://www.youtube.com/watch?v=c2XThiifpzE&feature=youtu.be
তৃতীয় পর্বে যা যা থাকছে
১। ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ
২। ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে এইচটিএমএল ও সিএসএস এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ
আর সাথে থাকছে, ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস এর ব্যবহার পদ্ধতি এবং ইমেইল টেমপ্লেট তৈরির প্রাথমিক ধারণার ভিডিও টিউটোরিয়াল ।

তৃতীয় পর্ব শুরু করার আগে বলতে চাই, যারা এই কোর্সটি করছেন, তাদের মধ্যে আনেকই ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস আগে থেকেই অভিজ্ঞ । তাদের কাছে এই টিউটোরিয়ালটি ভাল নাও লাগতে পারে । এই কোর্সটি শুধুমাত্র ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস জানা অভিজ্ঞদের জন্যেই নয়, তাদের জন্যেও যারা শুধুমাত্র বেসিক কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে ধারণা রাখে । তবে এই টিউন ও ভিডিও টিউটোরিয়াল থেকে এমন কিছু স্পেশাল টিপস পাবেন যা অভিজ্ঞদেরও কাজে লাগবে ।
১। ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ
ফটোশপ হল চিত্রাঙ্কন করার একটি সফটওয়্যার । রঙ তুলি দিয়ে যেমন আপনি ক্যানভাসে ছবি আঁকেন তেমনই, ফটোশপের বিভিন্ন টুলস ব্যবহার করে তৈরি করতে পারেন দৃষ্টিনন্দন কারুকাজ । পিএসডি ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে আপনাকে “ফটোশপ মাষ্টার” হতে হবে না । শুধু মাত্র কিছু টুলস ও অপশন ব্যবহার করার নিয়ম জানলেই হবে। সাথে আমার কিছু টিপস পুরোপুরি বুজতে পারলেই আপনি দৃষ্টিনন্দন পিএসডি ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন ।
# Marquee Tool: কোন ইমেজ বা ইমেজের অংশকে গোলাকার বা বর্গাকার করে সিলেক্টশন করার জন্য Marquee Tool ব্যবহার করা হয় । চার ধরনের Marquee Tool রয়েছে, Rectangular Marquee Tool যা চার কোনা আকারে সিলেক্ট করতে, Elliptical Marquee Tool যা বৃত্তাকারে সিলেক্ট করতে, Single Row Marquee Tool যা Row আকারে ও Single Column Marquee Tool যা Column আকারে সিলেক্ট করতে ব্যবহার হয় ।
# Move Tool ও Zoom Tool: কোন অবজেক্ট বা ইমেজের অংশকে সরানো বা নড়াচড়া ও বিভিন্ন লেয়ার সিলেক্ট করতে Move Tool ব্যবহার হয় এবং কোন অবজেক্টকে বড় বা ছোট করে দেখার জন্য zoom Tool ব্যবহার হয় ।
# Crop Tool ও Type Tool: অবজেক্ট বা ইমেজকে কোন নির্দিষ্ট অংশে কাটতে বা পুরো অবজেক্টটিকে রিসাইজ করতে ব্যবহৃত হয় Crop Tool ও কোন কিছু লিখালিখির জন্য Type Tool ব্যবহৃত হয় ।
# Blur Tool: কোন ইমেজকে মসৃন করার জন্য ব্যবহার করা হয় Blur Tool । ইমেইল টেমপ্লেটের ব্যাকগ্রাউন্ড ও ব্যানার তৈরিতে এর ব্যবহারের জুরি নাই।

# Paint Bucket Tool ও Gradient Tool: অবজেক্টের ভিতর বিভিন্ন রঙ দিতে Paint Bucket Tool ব্যবহার হয় এবং রঙের বিভিন্ন অনুপাত বা পরিবর্তন এনে ভিন্নধর্মী রঙ তৈরি করে অবজেক্টের ভিতর রঙ দিতে ব্যবহৃত হয় Gradient Tool ।
# Rectangle Tool ও Ellipse Tool: বর্গাকার বা আয়তকার অবজেক্ট তৈরি করতে Rectangle Tool এবং বৃত্তাকারে অবজেক্ট তৈরি করতে Ellipse Tool ব্যবহৃত হয় ।
# Slice Tool: কোন অবজেক্ট্রের অংশকে নির্দিষ্ট পরিমাপে বা প্রয়োজনীয় অংশকে কাটার জন্য Slice Tool ব্যবহার করা হয় ।
# Grid: বিভিন্ন অবজেক্ট্রের পরিমাপ আলাদা আলাদা ভাবে নিশ্চিত করার জন্য Grid ব্যবহার করা হয় ।
# Layer: ফটোশপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল Layer। Layer এর অর্থ হল স্তর । একটা ডিজাইনে যত Layer ব্যবহার করা যাবে তত ডিজাইনটা নিখুঁত হবে । একটা খাবারের উধাহারণ দিয়ে বিষয়টা বোঝাছি, ধরুন, কেক বা পাস্টিতে যদি এতগুলো স্তর না হয়ে একটি স্তর হলে সমস্যা কি ছিল? দেখতে একটু খারাপ লাগত আর টেস্ট একটু কম হত তাতে কি খাওয়া তো যেতই !! আশা করি বুঝতে পেরেছেন Layer টা কেন গুরুত্বপূর্ণ ।
না বুঝলে ফটোশপের উপর ভিডিও টিউটোরিয়ালটি দেখলে বিষয়গুলো আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন এবং ইমেইল টেমপ্লেটের জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড ও ব্যানার তৈরির সহজ উপায়গুলোও জানতে পারবেন ।
২। ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে এইচ টি এম এল (html) ও সি এস এস (css) এর ব্যবহার এবং প্রয়োগ
এইচ টি এম এল(html) এর পূর্ণনাম হল হাইপার টেক্স মারকাপ লাংগুয়াজ( Hyper Text Markup Language ) এবং সি এস এস (css) পূর্ণনাম হল Cascading Style Sheet ।
এইচ টি এম এল (html) দিয়ে টেমপ্লেটের স্ট্রাকচার তৈরি করা হয় এবং সি এস এস (css) দিয়ে ঐ স্ট্রাকচারকে সুন্দর করে সাজানো হয় । ধরুন, আপনি বিরিয়ানি রান্না করেছেন তা হল এইচ টি এম এল(html) আর তা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছেন পরিবেশন করলেন তা হল সি এস এস(css) ।
এইচ টি এম এল (html) এবং সি এস এস (css) এর অনেক ট্যাগ আছে তবে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে যে সব ট্যাগ ব্যবহার হয় শুধু সে সব ট্যাগ সম্পর্কে জানলেই হবে ।
এইচ টি এম এল এর বেসিক ট্যাগ হল <html> দিয়ে শুরু আর </html> শেষ এবং এর মাঝখানে যা কিছু করা হবে তা আপনার টেমপ্লেটে দেখা যাবে । বিষয়টি বুঝিয়ে দিচ্ছি, প্রথমে আপনার কম্পিউটারে একটা ফোল্ডার তৈরি করেন যেকোনো নামে। তারপর একটি নোটপ্যাড ফাইল ওপেন করুন, তার মধ্যে <html> ও </html> লিখে index.html দিয়ে সেভ করুন । index বা যে কোন নাম দিয়েও কোন সমস্যা নেই কিন্তু, যে নাম দিয়েই সেভ করেন না কেন তার সাথে .html এক্সটেনশন থাকতে হবে । কারণ প্রতিটা ফাইলের একটা নির্দিষ্ট এক্সটেনশন থাকে, যা তার পরিচয় বহন করে । যেমন ওয়ার্ডফাইলের এক্সটেনশন হল .doc বা .docx ইমেজের এক্সটেনশন হল .jpeg বা .bmp বা .gif কোন গানের এক্সটেনশন .mp3 বা .m4 ইত্যাদি । ঠিক তেমনই টেমপ্লেট তৈরির এক্সটেনশন হল .html ।

এখান <html> ও </html> এর মাঝখানে কিছু লিখুন ও সেভ করুন এবং মজিলা ফায়ারফক্স বা যে কোন ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে খুলে দেখুন । এইতো এইচ টি এম এল শিখে গেলেন । মানে অ আ ক খ তো জানলেন, এবার জানবেন কিভাবে তা শব্দ ও বাক্যে রুপ দেয়া যায় ।
এইচ টি এম এল(html) এর কোন ট্যাগ কোন কাজে লাগে ।
<title></title> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটের টাইটেল বা নাম নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<body></body> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটের মূল content অংশে যা যা রাখতে চান তা নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<a></a> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটে কোন Anchor বা লিংক নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<b></b> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটের কোন লিখাকে Bold নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<i></i> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটের কোন লিখাকে Italic নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় ।
<h></h> ট্যাগ আপনার টেমপ্লেটের কোন লিখাকে বিভিন্ন সাইজের হেডার নির্দেশ করতে ব্যবহার হয় । এক থেকে ছয় পর্যন্ত হেডার সাইজে(h1, h2, h3, h4, h5, h6) আপনার টেমপ্লেটের লিখাতে ব্যবহার করতে পারবেন ।
<img/> ট্যাগ ব্যবহার করে আপনার টেমপ্লেটে সংযুক্ত করতে পারবেন ।
<p></p> ট্যাগ ব্যবহার করে টেমপ্লেটের লিখাকে Paragraph তৈরিতে নির্দেশ করার জন্য ।
<table> </ table > ট্যাগ ব্যবহার করে আপনার টেমপ্লেটেটেবিল তৈরি করতে ব্যবহার হয় । ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে আমরা <div> ট্যাগ ব্যবহার না করে সব সময় <table> </ table > ট্যাগ ব্যবহার করব । কারণ অনেক ডিভাইসে <div> ট্যাগ দ্বারা তৈরি ইমেইল টেমপ্লেট ঠিকভাবে শো করে না । তাই <table> </ table > ট্যাগ ব্যবহার খুব ভালভাবে বোঝতে হবে । <tr></tr> দ্বারা টেবিল রো এবং <td></td> টেবিলের ডাটা বোঝানো হয় ।
সি এস এস(css)এর কাজে
Inline, Embedded, and External Style Sheets এই তিন ধরনের সি এস এস (css ) হয়ে থাকে । আমরা সব সময় Inline css ব্যবহার করব ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে । সিএসএস(css ) এর কোড গুলো এইচটিএমএল ট্যাগ ভিতরে ব্যবহার করা হয়। কোন এইচটিএমএল(html) ট্যাগ ভিতর সিএসএস(css ) এর কোড ব্যবহার করার আগে style= “” এটা লিখে এর ভিতর কোড গুলো ব্যবহার করতে হবে । একটি উদাহারন দিয়ে বোঝাছি , ধরুন টেমপ্লেট এ ব্যবহৃত এইচ টি এম এল প্যারাগ্রাফ ট্যাগের ভিতর কোন লিখাকে আলাদা ফন্ট নাম ও সাইজ দিতে এই কোড টি ব্যবহার করাতে চান ।
<p style=”font-family:Arial, Helvetica, sans-serif; font-size:10px;” “> </P>
এখানে <p> </P> হল এইচটিএমএল ট্যাগ । <p এর ভিতর style=”font-family:Arial, Helvetica, sans-serif; font-size:10px;” ” এটা হল সিএসএস (css) কোড । এখানে font-familyবা font-size হল সিএসএস (css) এর প্রপার্টি বলে আর এর শেষে : (কোলন) দিতে হবে এবং Arial, Helvetica, sans-serif বা 10px হল সিএসএস (css) এর ভ্যালু আর এর শেষে ; (সেমি কোলন) দিতে হবে । সব শেষে > </P> দিয়ে কাজ কমপ্লিট করতে হবে ।

যারা নতুন তারা হইত এসব দেখে মাথা খারাপ হয়ে যেতে পারে । তাই তাদের জন্য বলছি আপনাদের ভয় পাবার কিছু নেই, কারণ ইমেইল টেমপ্লেট তৈরির টিউটোরিয়াল গুলোতে এমন কিছু টিপস দেব যাতে ট্যাগ না কোড মনে না রেখেও আপনি জোশ ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন ।
যেহেতু এসব বিষয়গুলোতে অনেকই হইত নতুন, তাই শিখতে গিয়ে কোন প্রবলেমে পরলেন তা নিয়ে গ্রুপে গ্রুপ ডিসকাশন করে সমাধান করে নিতে পারবেন আপনার সমস্যাগুলি । প্রশ্ন না করলে আপনি শিখতে পারবেন না । গ্রুপে প্রশ্ন করেন যে, আমি এটা বুঝতে পারছিনা বা এটা করতে পারছিনা বা আপনি জানেন কোন উত্তর তা জানিয়ে দিন মানে “একটিভ ম্যান”””””“ হিসাবে নিজেকে তৈরি করেন। এতে একজন আরেকজনকে সহযোগিতা করে সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন ।
তৃতীয় পর্বের হোমওয়ার্ক
এবারের পর্বের হোমওয়ার্ক হল ফটোশপ ও ড্রিময়েভার সফটওয়্যার সংগ্রহ করবেন । আপনার
কম্পিউটারে মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রম, সাফারি ওয়েব ব্রাউজার ইন্সটল করা । এইচটিএমএল ট্যাগ ও ফটোশপ টুলগুলো দিয়ে প্রাকটিস করবেন ।
চতুর্থ পর্বে যা থাকবে
“প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” এই কোর্সে আপনাদের অতিরিক্ত ২-৩ টা স্পেশাল টিউটোরিয়াল উপহার দিব । আর তাই [০৪-পর্ব:: (প্রোজেক্ট-১) MailChimp দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা + ১০-পর্ব :: “MailChimp” এর A to Z ব্যবহার এবং email Campaign সেটআপ করা ] এই পর্বকে একত্রিত করে ৪র্থ পর্বে থাকবে “MailChimp” উপর পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল এবং সাথে থাকবে ২ ঘণ্টা উপরে “MailChimp” এর A to Z ভিডিও টিউটোরিয়াল । এক পর্বেই আপনাদের “MailChimp” এর মাষ্টার বানিয়ে দেব ।

আজ আর নয় ইমেইল মার্কেটিং এর চতুর্থ পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি আজকের টিউটোরিয়াল। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন আর পোস্টটি শেয়ার করবেন করে ভুলবেন না ।
“প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” এর (৪র্থ + ১০ম পর্ব)
সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি “প্রফেশনাল ইমেইল মার্কেটিং শিখুন, সফল ক্যারিয়ার গড়ুন” এর (চতুর্থ + দশম) স্পেশাল পর্বে । তার মানে [০৪-পর্ব:: (প্রোজেক্ট-১) MailChimp দিয়ে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করা + ১০-পর্ব :: “MailChimp” এর A to Z ব্যবহার এবং email Campaign সেটআপ করা ] এই পর্ব দুটোকে একত্রিত করে “MailChimp” উপর একটি পূর্ণাঙ্গ টিউটোরিয়াল তৈরি করা হয়েছে। আর আপনাদের কথা দিচ্ছি, এই পর্বে আপনাদেরকে “মেইলচিম্প” এর মাষ্টার বানিয়ে দেব ইনশাল্লাহ ।
গত পর্বে যা যা ছিল
ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ এর ব্যবহার ও প্রয়োগ, ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে এইচটিএমএল ও সিএসএস এর ব্যবহার ও প্রয়োগ এবং আর সাথে ছিল, ইমেইল টেমপ্লেট তৈরিতে ফটোশপ, এইচটিএমএল ও সিএসএস এর ব্যবহার পদ্ধতি ও ইমেইল টেমপ্লেট তৈরির প্রাথমিক ধারণার ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
গত পর্বের টিউন দেখুন এখানেঃ http://www.techtunes.com.bd/tutorial/tune-id/290973
গত পর্বের ভিডিও টিউটোরিয়াল দেখুন এখানেঃ https://www.youtube.com/watch?v=_pFVM9Y_zhk
স্পেশাল এই ( চতুর্থ + দশম )পর্বে যা যা থাকছে
- মেইলচিম্প(MailChimp) কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা
- মেইলচিম্প(MailChimp) এর বেসিক ব্যবহার
- মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে এডিট করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি
- মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ email Campaign সেটআপ
- শুধু মেইলচিম্প(MailChimp) শিখেই আউটসোর্সশিং করার কিছু টিপস ও গাইডলাইন

আর সাথে থাকছে, “মেইলচিম্প(MailChimp) এ মাষ্টার হওয়ার উপর একটি মেগা ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
শুরুতে একটি কথা বলে নেইআপনাদের, এই স্পেশাল টিউটোরিয়ালে খুব প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো টিউন আকারে লিখা হয়েছে এবং প্রাক্টিকাল বিষয়গুলো ভিডিও টিউটোরিয়াল আকারে বোঝানো হয়েছে । আপনি যদি শুধু পোস্টটা পড়লেন বা শুধু ভিডিও টিউটোরিয়ালটা দেখলেন তা হলে ভাল ভালে বুঝতে পারবেন না । তাই আমার পরামর্শ থাকবেন আপনি পোস্ট ও ভিডিও টিউটোরিয়াল দুটোই ভালভাবে পড়ে ও দেখে নিবেন ।
১। মেইলচিম্প(MailChimp) কি এবং এর সুবিধা ও অসুবিধা
সহজ ভাষায়, মেইলচিম্প(MailChimp) হল ইমেইল সেন্ডিং করার একটা কোম্পানি বা প্ল্যাটফর্ম । আপনি মেইলচিম্প(MailChimp) এর ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে হাজার হাজার মেইল এক সাথে পাঠাতে পারবেন । অর্থাৎ পার্সোনাল সার্ভার না থাকলে মেইলচিম্প(MailChimp) কে ভাড়া করে তাদের ইমেইল সার্ভার ব্যবহার করে মেইল পাঠাতে পারবেন ।
আরও সহজ করে বলছি, ধরুন, আপনার কোন মালামাল ঢাকা থেকে জামালপুর শহরে পাঠাবেন মালবাহী ট্রেনে করে । অর্থাৎ রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম থেকে ভাড়াকৃত মালবাহী ট্রেন মাধ্যমে আপনার কোন মালামাল ঢাকা থেকে জামালপুর শহরে পাঠানো হবে । এখানে মালামাল যদি ইমেইল হয়, আর মালবাহী ট্রেন যদি ভাড়াকৃত মেইলচিম্প (MailChimp) এর ইমেইল সার্ভার হয়, তাহলে মেইলচিম্প (MailChimp) কোম্পানি হবে রেলওয়ে প্ল্যাটফর্ম । আশা করি বোঝাতে পেরেছি, মেইলচিম্প (MailChimp) আসলে কি !
মেইলচিম্প (MailChimp) এর সবচেয়ে বড় সুবিধা হল আপনি ফ্রীতে মাসে ১২ হাজার ইমেইল সেন্ড করতে পারবে, ২ হাজার ইমেইল সবস্ক্রাইব তৈরি করতে পারবেন, কোন প্রকার এইচ টি এম এল (html), সি এস এস(css) বা ফটোশপের উপর ধারণা ছাড়াই আপনি সুন্দর ও প্রফেশনাল মানের ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারবেন এবং মেইলচিম্প (MailChimp) এর ব্যবহার এতোটাই সহজ যে, ক্লাস ফাইভে পড়া আমার ভাগ্নে রোহানও এটা ব্যবহার করতে পারেন । তাহলে বুঝতেই পারছেন, কেন আপনাদের মেইলচিম্প (MailChimp) এর মাষ্টার বানানোর কথা দিয়েছি ।
এবার আসি অসুবিধা কি আছে । মেইলচিম্প (MailChimp) এর দুই ধরনের সার্ভিস আছে, একটি ফ্রী আরেকটি পেইড । স্বভাবতইফ্রী সার্ভিস এ কিছু সুবিধা কম থাকবেই । যেমন, ফ্রী সার্ভিস চেয়ে পেইড সার্ভিস এ বেশী পরিমান মেইল সেন্ড করতে পারবেন, বেশী পরিমান সবস্ক্রাইব তৈরি করতে পারবেন ইত্যাদি । ফ্রী সার্ভিসে আপনি অটোস্পন্ডার ব্যবহার করতে পারবেন না । ফ্রী সার্ভিসের সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল আপনি যতবার ইমেইল পাঠাবেন ততবার মেইলচিম্প (MailChimp) এর লোগোকে কোলে নিয়ে মেইল পাঠাতে হবে । মানে খুব ছোট বাচ্চাদের যেমন ট্রেনে টিকেট ফ্রী কিন্তু বসতে হয় ফ্যামিলির কারো কোলে ( কারণ, ফ্রী টিকেটে সিট নাই J )। ঠিক তেমনি, যেহেতু তাদের সার্ভিস ফ্রী ব্যবহার করছেন, তাই তারা আপনার প্রচারের সাথে সাথে নিজেদের মেইলচিম্প (MailChimp) এর লোগো জড়ে দিয়ে তাদের প্রচারও করিয়ে নিচ্ছে । এছাড়া, মেইলচিম্প (MailChimp) এর পেইড সার্ভিসের খরচও অনেক বেশী । তার চেয়ে পার্সোনাল ইমেইল সার্ভারের খরচ অনেক কম ।
২। মেইলচিম্প(MailChimp) এর বেসিক ব্যবহার
মেইলচিম্প(MailChimp) এর বেসিক ব্যবহার বলতে কিভাবে মেইলচিম্প(MailChimp) এর সাইনআপ ও একটিভিটেড করবেন, প্রোফাইল তৈরি করবেন এবং মেইনটেইন করবেন ইত্যাদি । এটা আসলে খুব বেশী কঠিন কিছু না । আপনি যদি ফেসবুক আকাউন্ট ও আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন তাহলেhttp://www.MailChimp.com গিয়েও মেইলচিম্প(MailChimp) এর আকাউন্ট ও আপনার প্রোফাইল তৈরি করতে পারেন । শুধু তাই না ফেসবুকে যেমন আপনি যখন খুশি তখন কোন কিছু পরিবর্তন বা সংযোজন করতে পারেন ঠিক তেমনই মেইলচিম্প(MailChimp)ও করতে পারবেন । তার পরেও যদি আপনার মনে কোন প্রশ্ন থাকে তা ভিডিও টিউটোরিয়ালটা দেখার পর দূর হয়ে যাবে ।
৩। মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে এডিট করে ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি
সাধারণত এইচ টি এম এল ইমেইল টেম্পলেট (html Email Template ) তৈরি করতে আপনাকে খুব বেশী না হলেও মোটামুটি এইচ টি এম এল, সি এস এস বা ফটোশপের উপর জ্ঞান থাকতে হবে । কিন্তু মেইলচিম্প(MailChimp) সাহায্যে কোন প্রকার এইচ টি এম এল(HTML), সি এস এস(CSS) এর কোড ব্যবহার না করেও আপনি দৃষ্টিনন্দন প্রফেশনাল মানের ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করতে পারবেন ।

মেইলচিম্প(MailChimp) এর আকাউন্ট লগইন করার করার পর বামপাশে একটি ছোট বটন থেকে টেম্পলেট এ ক্লিক করতে হবে । তারপর ক্রিয়েট টেম্পলেট(Crate Template) এ ক্লিককরলে দেখতে পাবেন, অনেক ধরনের এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট যা মেইলচিম্প(MailChimp) কোম্পানি আগে থেকে করে রেখেছে তার গ্রাহকদের সুবিধার জন্য । আপনি শুধু তা এডিট করবেন মানে ঐ এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেটে যে লিখা ও ছবি আছে তা পরিবর্তন করে আপনি আপনার লিখা ও ছবি যুক্ত করবেন (এম এস ওয়ার্ড এর মত )। ব্যাস কাজ শেষ তৈরি হয়ে যাবে জোশ এইচটিএমএল ইমেইল টেম্পলেট কোন পরিশ্রম ছাড়াই । শুধু কিছু অপশনের ব্যবহার করার নিয়ম ও আমার কিছু টিপস পুরোপুরি বুজতে পারলেই আপনি মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে সেইরকম J ইমেইল টেমপ্লেট তৈরি করতে পারবেন ।
মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়েটেম্পলেট তৈরি করার সময় খেয়াল রাখবেন আপনি যে কোম্পানি বা ওয়েবসাইটের জন্য ইমেইল টেম্পলেট তৈরি করছেন তা যেন ঐ কোম্পানি, প্রডাক্ট বা ওয়েবসাইটের সাথে মিল থাকে । মানে ওয়েবসাইট ব্যাকগ্রাওন্ড কালার, ইমেজ, লোগো, টেক্সট ইত্যাদি । এতে আপনার ইমেইল টেম্পলেট বেশী প্রফেশনাল মনে হবে ।
৪। মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ email Campaign সেটআপ
মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়েemail Campaign সেটআপর আগে প্রথমে যা করতে হবে তা হল প্ল্যান । কারণ প্ল্যান ছাড়া কোন কাজই সফলভাবে সম্পূর্ণ হয় না । প্ল্যানে থাকবে, ইমেইল লিস্ট তৈরি ও বাছাইকরণ, তারপর ইমেইল টেম্পলেট তৈরিকরণ এবং তা ঠিক আছে কিনা এর জন্য টেস্ট ইমেইল পাঠানো আর ফাইনালি ইমেইল সেন্ড করা ।
প্রথমে ইমেইল লিস্ট সংগ্রহ করে তা একটা নাম দিয়ে মেইলচিম্প(MailChimp) এ লিস্টটা আপলোড করতে হবে । লিস্টটি আপনি .txt ফরম্যাট বা .csv ফরম্যাট আপলোড করতে পারবেন । চাইলে ফাস্ট ও লাস্ট নেম এড করতে পারবেন। আলাদা আলাদা বিষয়ের আলাদা আলাদা নামে ইমেইল লিস্টটি করে রাখলে আপনার কাজের অনেক সুবিধা হবে ।
ইমেইল টেম্পলেট তৈরি বা এডিট করা সম্পর্কে আমি আগেই বলেছি । আর ইমেইল টেস্টিং বলতে আপনি ইমেইল পাঠানোর আগে নিজের ইমেইলে একটা মেইল পাঠায়ে দেখবেন যে আপনার মেইলটা ঠিকঠাক যায় কিনা । আর ইমেইল টেম্পলেটে সব কিছু ঠিকঠাক শো কিনা ।

আর সবশেষে আপনার সিলেক্টেড ইমেইল লিস্ট থেকে ইমেইল পাঠাবেন এবং পরো প্রক্রিয়াটাকে মেইলটেইন করবেন । মানে সব কিছু ঠিকঠাক চলছে কিনা, আপনার ইমেইল ওপেন হচ্ছে কি না ইত্যাদি ।
৫। শুধু মেইলচিম্প(MailChimp) শিখেই আউটসোর্সসিং করার কিছু টিপস ও গাইডলাইন
মেইলচিম্প(MailChimp)এর উপর অনেক কাজ রয়েছে মার্কেটপ্লেসগুলোতে ( odesk, elance, freelancer, guru )। আপনি মার্কেটপ্লেসগুলোতে সার্চ করলে দেখতে পাবেন, মেইলচিম্প(MailChimp) দিয়ে মেইল পাঠানোর কাজ, ইমেইল টেমপ্লেটএডিট করে নতুনটেমপ্লেটতৈরির কাজ, মেইলচিম্প(MailChimp) মেইনটেইন ও ইমেইল হ্যান্ডেলিং এর কাজ ইত্যাদি । তাই মেইলচিম্প(MailChimp) এর ভিডিও টিউটোরিয়ালটি মনযোগ দিয়ে দেখুন আর ভালভাবে প্র্যাকটিস করুন । যখনই কোন প্রবলেম এ পড়বেন তখনই গ্রুপে প্রশ্ন করেন আপনি যথাসম্ভব আপনাদের সকল প্রশ্নের উত্তর দিব ইনশাল্লাহ ।
মার্কেটপ্লেসগুলোতে আকাউন্ট তৈরি, প্রফেসনাল প্রোফাইল তৈরি, জব সিলেকশন, বিড করার পদ্ধতি, কভার লেটার লেখার কৌশল, ইন্টারভিউ ইত্যাদি ভালভাবে শেখার জন্য জেনেসিস ব্লগের কর্ণধার ইকরাম ভাই এর তিন পর্বে আউটসোর্সসিং শিখুন এই পর্ব গুলো পড়ে শুরু করুন । লিংক গুলো নিচে দেওয়া হল
আর আমার পক্ষ থেকে কিছু স্পেশাল টিপস
১। আপনার প্রোফাইল এমন প্রফেশনালভাবে তৈরি করবেন, যাতে বিড না করেও উল্টো আপনাকেই বায়ার জবের জন্য অফার করে ।

২। যত বেশী সম্ভব পোর্টফলিও যুক্ত করুন এবং পোর্টফলিও এর ছবিতে মারকিং করে বুঝিয়ে দিন যে আপনি কাজ তা কিভাবে করবেন বা করতে পারেন । আর অবশ্যই প্রতিটির ডেসক্রিবসন খুব সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখবেন যাতে বায়ার বুঝতে পারেন যে, আপনি কাজটি ভালভাবে করতে পারবেন ।
৩। কভারলেটার কখনো কপি পেস্ট করে লিখবেন না । প্রথমে জব ডেসক্রিবসনটা খুব ভালভাবে পড়ে নিবেন, মিনিমাম তিন থেকে চার বার । তারপর সেখান থেকে জব বা বায়ারের দুর্বলতা খুজে বের করবেন । আর দুর্বলতা পাওয়ার সাথে সাথেই অ্যাটাক তাহলেই, “কিস্তিমাৎ ! বিষয়টা একটু বুঝিয়ে বলছি, ধরুন নিউসপেপারে বিজ্ঞাপন দিয়েছে,
পাত্রী চাই
ঢাকায় সুপ্রতিষ্ঠিত, উচ্চতা ৪.৫ ফিট ও সুদর্শন ডাক্তার পাত্রের জন্য সুন্দরী, ভদ্র ও নামাযী পাত্রী চাই । যোগাযোগঃ ………………।
বলুন দেখি, ঐ পাত্রকে বিয়ে করতে হলে পাত্রীর কোন যোগ্যতা বেশী প্রয়োজন ?
সুন্দরী ? না, সুন্দরী তো অনেকেই আসে । আর ভদ্র ও নামাযী না হলেও হয়ে যাওয়া যাবে । তাহলে কি হতে পারে পাত্রীর বিশেষ যোগ্যতা ?
বিজ্ঞাপনে দেওয়া আছে পাত্রের উচ্চতা ৪.৫ ফিট । তারমানে আর চেয়ে লম্বা হলে পাত্রী রিজেক্ট । তাই পাত্রীকে হতে হবে ৪.৫ ফিটের নিচে । যা তার বিশেষ যোগ্যতা আর পাত্রের দুর্বলতা । এখান পাত্রের জাইগায় বায়ার আর পাত্রীর জাইগায় আপনাকে বসান জব কবুল হয়ে যাবে ইনশাল্লাহ

৪। কাজ পাওয়ার পর বায়ার সাথে সব সময় ভাল রিলেশন রাখুন যাতে পরবর্তীতে তার কাজগুলোও যাতে আপনিই পান । ( আর একটা কথা, ভাল রিলেশন মানে এমন নয় যে বায়ারকে আপনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমার গার্লফ্রেন্ড আসে নাকি ?? )
৫। এছাড়া ফাইভার এই সাইটগুলতেও আপনি মেইলচিম্প(MailChimp) এর বিভিন্ন সার্ভিস সেল করে আয় করতে পারেন ।
আরেকটা বিশেষ কথা, এক সপ্তাহ আগে গ্রুপের কিছু মেম্বার আমার কাছে জানতে চেয়েছেন আপনি যা শেখাছেন তা আমরা কতটুকু শিখতে পাচ্ছি তা নির্ণয় করা উচিৎ । তা না হলে আমারা বেশী দূর আগাতে পারব না । তাই এই চিন্তা করে টিউটোরিয়ালটা ২ ঘণ্টার জায়গায় ১ ঘণ্টা প্লাস করা হইছে । বাকিটা হবে প্রাকটিস করার সমায় যে যে প্রবলেমে পড়বেন আমায় আথবা গ্রুপ প্রশ্ন করবেন । সেই প্রশ্নগুলোর ওপর ভিত্তি করে পবরতী পর্বের সাথে একটা মেইলচিম্প(MailChimp) এর অতিরিক্ত ভিডিও টিউটোরিয়াল বোনাস হিসাবে থাকবে । কারণ, আমি তোঁতা পাখির মত যতটুকু শিখিয়ে দিব আপনি শুধু ততকুটুই শিখবেন, মাষ্টার হতে পারবেন না। মাষ্টার হতে হলে আপনাকে প্র্যাকটিস করতে হবে ও প্রবলেম বের করতে হবে । এতেই নির্ণয় হবে টিউটোরিয়াল গুলো কি শুধু হার্ডডিস্কে জমা থাকছে নাকি আপনি শিখতে পাছেন ।
সবার জন্য একটা কথা, প্রশ্ন না করলে আপনি শিখতে পারবেন না । তাই শিখতে গিয়ে কোন প্রবলেমে পরলে তা নিয়ে গ্রুপে গ্রুপ ডিসকাশন করে সমাধান করে নিতে পারবেন আপনার সমস্যাগুলি । আর না হলে সারাজীবন এভাবেই কেটে যাবে কোন লাভ হবে না । সুতরাং, একজন আরেকজনকে প্রশ্ন ও সহযোগিতা করে সামনে এগিয়ে যেতে হবে ।
চতুর্থ পর্বের হোমওয়ার্ক
এবারের পর্বের হোমওয়ার্ক হল মেইলচিম্প(MailChimp) এর আকাউন্ট ও প্রোফাইল তৈরি করবেন, যে কোন একটি ইমেইল টেমপ্লেটএডিট করে নতুনটেমপ্লেটতৈরি করবেন এবং আমাকে একটা মেইলচিম্প(MailChimp)এর মাধ্যমে সুন্দর ইমেইল টেমপ্লেটতৈরি করে এই মেইল এড্রেসে (emailmarketersbd@gmail.com) পাঠাবেন, যাতে আমি বুঝতে পারি আপনাদেরকে কতটুকু শিখাতে পারলাম ।
৫ম পর্বে যা থাকবে
৫ম পর্বে থাকবে এইচটিএমএল ইমেইল টেমপ্লেট এডিট করে নতুন ইমেইলটেমপ্লেট তৈরির কলাকৌশল । যারা নতুনদের ও যাদের ইমেইল টেমপ্লেট খুব একটা দরকার হই না এবং যারা অল্প সময়ে প্রফেশনাল মানের ইমেইলটেমপ্লেট জন্য এটা বেশ কার্যকরী । সাথে থাকবে স্পেশাল টিপস ও ম্যাজিক ভিডিও টিউটোরিয়াল । আর আপনাদের মেইলচিম্প(MailChimp)এর বিভিন্ন প্রবলেম ও প্রশ্নের উপর ভিত্তিতে বোনাস ভিডিও টিউটোরিয়াল ।
আজ আর নয় ইমেইল মার্কেটিং এর চতুর্থ পর্বের আমন্ত্রণ জানিয়ে শেষ করছি আজকের টিউটোরিয়াল। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন আর পোস্টটি শেয়ার করবেন করে ভুলবেন না ।
No comments:
Post a Comment