আসছে রমজান। আর তারপরেই পবিত্র ঈদুল- ফিতর। তাই পূর্ব-প্রস্তুতি হিসেবে
আগে থেকেই শুরু হয়েছে ঈদের কেনাকাটা। অন্যান্য দেশে অনলাইন কেনাকাটা
জনপ্রিয় হলেও আমাদের দেশে ফেসবুকে কেনাকাটা করতেই মানুষ বেশি
স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে।
ইদানিং অনলাইন শপিং করতে অনেকেই ভালোবাসেন। কারণ সময় বাঁচাতে এর কোনো
বিকল্প নেই। আবার কর্ম ব্যস্ততা আর ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটা করার ঝামেলা
এড়াতেও অনেকেই অনলাইন শপিংকে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
তবে অনলাইনে কেনাকাটায় এগিয়ে আছেন নারীরা। তাই কেনাকাটার সময় কিছু বিষয়
সব সময় মনে রাখা জরুরি। ফেসবুকে কেনাকাটা করতে নিচের টিপসগুলো অবলম্বন
করুন:
এক. অনলাইনে কোনো কিছু পছন্দ হলে সেটার লিঙ্কটি সেভ করে রাখুন। এরপর
অন্যান্য অনলাইন শপ গুলোতে দাম যাচাই করুন। অনেক সময় একই বস্তুর দাম
বিভিন্ন স্টোরে ভিন্ন ভিন্ন হয়। কোনো কোনো স্টোরে অতিরিক্ত দাম রেখে
ক্রেতাদেরকে ঠকানোর প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। তাই আগে দাম যাচাই করে পরে
কিনুন।
দুই. কাজ শেষে ওয়াই-ফাই বন্ধ রাখুন। তা না হলে হ্যাকাররা আপনার বিভিন্ন
গুরুত্বপূর্ণ পাসওয়ার্ড ও প্রয়োজনীয় ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য চুরি করতে
পারে। এতে করে অনলাইন কেনাকেটায় বিঘ্ন ঘটবে।
তিন. অনলাইনে যে পেজ বা সাইট থেকে কেনাকাটা করবেন সেখানে অন্যান্য
ক্রেতাদের কমেন্ট গুলো পরুন। তাহলে সার্ভিস সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা
পাবেন।
চার. আপনার বন্ধুদের মধ্যে যে সবচাইতে বেশি মার্কেটে ঘুরাঘুরি করে তাকে
জিনিসটির লিঙ্কটি দিন। তাহলে সে দাম এবং কোয়ালিটি সম্পর্কে আপনাকে ধারণা
দিতে পারবে।
পাঁচ. অনলাইনে ডেলিভারির সময় কোনো খুঁত পেলে সেটা ফেরত দিতে পারবেন কিনা সে সম্পর্কে আগে জেনে নিন। তারপর অর্ডার করুন।
ছয়. অনলাইনে অর্ডার দেয়া জিনিস হাতে এসে পৌঁছলে সেটা আগে ভালো করে যাচাই
করে নিন। দেখে নিন আপনি যেটা চেয়েছিলেন সেটাই পেয়েছেন কিনা কিংবা কোনো রকম
খুঁত আছে কিনা।
সাত. অনলাইনে কেনাকাটার ক্ষেত্রে নগদ টাকা পাঠাবেন না। সবসময় আগে হাতে জিনিস পেয়ে তারপর টাকা বিকাশ কিংবা একাউন্টে পাঠাবেন।
অনলাইন কেনাকাটার জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলছে। তাই প্রতারিত কিংবা
ঠকার হাত থেকে বাঁচতে চাইলে টিপসগুলো মেনে চলুন। তাতে লাভ হবে বৈকি, ক্ষতি
নয়।
No comments:
Post a Comment