যেকোনো ইন্টারনেট সংযোগই কোনো না কোনো ইন্টারনেট সংযোগদাতা
প্রতিষ্ঠানের (আইএসপি) কাছ থেকে নিতে হয়৷ আইএসপি ব্যবহারকারীদের কম্পিউটার
সিস্টেম বা রাউটারের মতো যন্ত্রের আইপি (ইন্টারনেট প্রটোকল) ঠিকানা
সম্পর্কে অবহিত থাকে৷ এমনকি এসব যন্ত্রপাতির অবস্থানের তথ্যও থাকে আইএসপির
কাছে৷ অর্থাৎ ব্যবহারকারীর বিভিন্ন তথ্য বা মেটাডাটা আইএসপির হাতে থাকেই৷
সবচেয়ে বড় কথা, তারা জানে আপনি কখন ফেসবুক বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট
ব্যবহার করছেন৷
আপনি যদি ফেসবুকে ঢুকে ওয়েবসাইট দেখার সফটওয়্যার বা
ব্রাউজারে ঠিকানা লেখার ঘরে ইউআরএল-টি দেখেন, তবে শুরুতেই রয়েছে https৷
এখানের s মানে হলো সিকিউর, যা SSL (সিকিউর সকেট লেয়ার) প্রটোকল ব্যবহার
করছে৷ তার মানে আপনি যখনই এটি দেখতে পাবেন, তখন বুঝবেন, আপনার কম্পিউটার
এবং ফেসবুক সার্ভারের মধ্যে যাবতীয় যোগাযোগ এনক্রিপশন বা সাংকেতিক
পদ্ধতিতে রূপান্তরিত হয়ে সব তথ্য নিরাপদ থাকছে৷ সাম্প্রতিক হার্টব্লিড
নামের ত্রুটির কারণে আমরা জানি এই এসএসএল-ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে শেষকথা নয়।
তাই বলা যায়, অপরাধমনস্ক লোকজন এসব তথ্য মাঝখান থেকে চুরি করে নিতে পারে৷
কিছু
বিষয় এখানে বিবেচনায় আনা যায়। আমরা আইএসপিকে নির্দিষ্ট অর্থ দেই সংযোগের
জন্য৷ বিজ্ঞাপনী সংস্থাগুলো আমাদের সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য বিনিময়ের
মাধ্যমে ফেসবুককে অর্থের জোগান দেয়। আপনি যদি ফেসবুকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
রেখে থাকেন আর আপনার আইএসপি বা অন্য কেউ যদি তাতে কোনোভাবে প্রবেশ করার
সুযোগ পায়, তাহলে বিষয়টা চিন্তারই৷ ফেসবুক বা এ ধরনের সেবা ব্যবহার করার
সময় যদি চান, ইন্টারনেটে আপনি কী করছেন, সেটা আপনার আইএসপি না জানুক, তাহলে
ভিপিএন (ভাচুর্য়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) বা টর ব্রাউজারের মতো প্রোগ্রাম
টুলস ব্যবহার করতে পারেন। বিনা মূল্যের ভিপিএন-সেবা সাইবারগোস্ট নামানো
যাবে (http://goo.gl/aagn3R) ঠিকানার
ওয়েবসাইট থেকে৷ বিশ্বজুড়ে স্বেচ্ছাসেবকদের নেটওয়ার্ক সার্ভার ব্যবহার করে
নিজের পরিচয় গোপন রেখে নিরাপদ থাকার টর ব্রাউজার পাওয়া যাবে (http://goo.gl/fkZz5b) ঠিকানায়।
No comments:
Post a Comment